বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে শুল্কনীতিতে পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে, যার অংশ হিসেবে আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশটি ১৯০টি পণ্য শুল্কমুক্ত রাখলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে এই নতুন পদক্ষেপ বিবেচনায় আনা হয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারকে একটি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর গড়ে ৬.১০% শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে কাঁচাতুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ০% ও ১% শুল্ক প্রযোজ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশকে তার সমস্ত রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫% শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি খাতে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সরকার শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। নতুন ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার সিদ্ধান্ত আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।
এই নীতিগত পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে, আমদানিকৃত কাঁচামালের শুল্ক কমালে তা উৎপাদন খাতে সহজলভ্যতা তৈরি করবে, যা দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
আশা করা হচ্ছে, এ ধরনের শুল্ক নীতি দেশের শিল্প খাতকে আরও সক্রিয় করবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের গতি বাড়াবে। তবে, এই উদ্যোগ সফল করতে শুল্ক কাঠামোর সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গতি বজায় রাখা অপরিহার্য।